বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা: মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে) আয়োজিত প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির ভাষণে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট-এর তহবিলে ১০ কোটি টাকা দেওয়ার ঘোষণা দেন ।
তিনি বলেন, তাঁর সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পে যেখানে আবাসন সুবিধা সৃষ্টি করা হয়েছে সেখানে সাংবাদিকদেরও ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখান থেকে বিধি মোতাবেক এককালিন একটা টাকা দিয়ে এবং মাসিক দীর্ঘমেয়াদি মেয়াদি ভিত্তিতে সাংবাদিকরা কোন ফ্লাট চাইলে নিতে পারেন। পাশাপাশি সাংবাদিকদের জমি বরাদ্দের বিষয়ে সাংবাদিকদের পক্ষ থেকে যে আবেদন করা হয়েছে তার জন্য বিধিমোতাবেক যথাযথভাবে জমি প্রদানের ব্যবস্থা নেবেন বলেও জানান। এরসঙ্গে জেলায় জেলায় সাংবাদিকদের জন্য আলাদা প্লটের ব্যবস্থা করে দেয়াও সরকারের চিন্তা ভাবনার মধ্যে রয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, “একটি জেলাভিত্তিক আবাসন প্রকল্প তৈরী করে দেব। যেন প্রত্যেক জেলায় আপনারা নিতে পারেন সে ব্যবস্থাটাও আমরা করবো। তাঁর নিজের সীডমানি দিয়ে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট করে দেয়ার প্রসংগ টেনে সেখানে আরো ১০ কোটি টাকা অনুদান প্রদানের ঘোষণা দেন এবং গণমাধ্যমের মালিক এবং সাংবাদিকদেরও কিছু কিছু করে সেখানে অনুদান জমা করার অনুরোধ জানান তিনি।
’৯৬ সালে তাঁর সরকারের বেসরকারি খাতকে উন্মুক্ত করে দেওয়ার মাধ্যমে মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠার প্রসংগ উল্লেখ করে তিনি বলেন, দেশে এখন যত সংবাদপত্র রয়েছে উন্নত দেশেও এতটা নেই। এর বাইরেও দেশে বর্তমানে ৩৩টি বেসরকারি টেলিভিশন সম্প্রচারে আছে। আরও ১৫টা সম্প্রচারের অপেক্ষায় বলে জানান তিনি। ‘বাংলাদেশে পেশা হিসেবে সাংবাদিকতা উচ্চমানের এবং এ পেশা মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে আছে,’ উল্লেখ করে শেখ হাসিনা ওয়েজ বোর্ড সম্পর্কে বলেন, ওয়েজবোর্ড বাস্তবায়ন মালিকদের দায়িত্ব। কিন্তু সেটা না করে তারা যদি এখন মামলা করে সেটা খুব দুর্ভাগ্যজনক। নবম ওয়েজ বোর্ড করা হয়েছে এবং ১০ম ওয়েজ বোর্ডের প্রস্তুতি চলছে। নির্বাচন খুব সামনে এবং নির্বাচনে তফসিল ঘোষনার পর সরকারের রুটিন ওয়ার্ক ছাড়া তেমন কিছু করার থাকেনা উল্লেখ করে তিনি বলেন, “১০ম ওয়েজ বোর্ডের প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে, এই ব্যবস্থাটা আমরা নেব। ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় কর্মরত সাংবাদিকদেরকেও এর আওতায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা আমাদের রয়েছে। তাছাড়া সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘গণমাধ্যম কর্মী চাকরী শতাবলী আইন’ প্রণয়নের চিন্তা-ভাবনাও তাঁর সরকারের রয়েছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা নিজেও সাংবাদিক ছিলেন। যার কারণে আপনাদের মাঝে এলে আমি দাবি করি, আমি আপনাদেরই পরিবারের একজন। সাংবাদিক কলাকুশলীদের যাতে কর্মসংস্থান হয় সেজন্য সব কিছু বেসরকারিভাবে উন্মুক্ত করে দিয়েছি। তথ্য অধিকার আইন, তথ্য কমিশন ও জাতীয় অনলাইন গণমাধ্যম নীতিমালা ২০১৭, জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ করেছি।
সূত্র: বাসস ও বিডিনিউজ২৪.কম